ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৯-০৬-২০২৫ ০১:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-০৬-২০২৫ ০১:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কারণ তার বিরুদ্ধে এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি—এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৯ জুন) সকালে যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো নাগরিককে যেন অযথা হয়রানি না করা হয়, সেজন্য যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আবদুল হামিদের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।’
তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। এটি দেশের সব নাগরিকের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য।
ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো ছিনতাই–চুরির ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম মোটামুটি সন্তোষজনক।’ পরে তিনি থানায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবরও নেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসা শেষে ব্যাংক থেকে দেশে ফেরেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রাত ১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে চিকিৎসার উদ্দেশে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন আবদুল হামিদ। তার সফরসঙ্গী ছিলেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ। দেশে ফেরার আগেই তার বিদেশযাত্রা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষাপটে তার দেশত্যাগ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী ও ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিন আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি বরখাস্ত করা হয় কিশোরগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম এবং পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক (ট্রেইনি) মো. সোলেমানকে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স